ছোলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা-সকালে ছোলা খাওয়ার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন যে ছোলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং সকালে ছোলা খাওয়া নিয়ম। আমি এই পস্টের মধ্যে ছোলার উপকারিতা,অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পূর্ণটা তুলে ধরছি।
আপনি যদি আপনার কাঙ্ক্ষিত তথ্যটি খুঁজে পেতে চান তাহলে এই পোস্ট টি সময় নিয়ে পড়বেন। আশা করছি আপনার তথ্য তুলে ধরতে পেরেছি।
সকালে ছোলা খাওয়ার নিয়মঃ
ছোলা সারারাত ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে কাঁচা খেয়ে নিন। সকালে ছোলা খাওয়ার অনেক উপকার। ভেজানো ছোলা ফাইবার সমৃদ্ধ একটি পুষ্টিকর খাবার। আসুন জেনে নিই সকালে খালি পেটে ছোলা খাওয়ার নিয়ম এবং ছোলার পুষ্টিগুণ। সন্ধ্যায় কাঁচা ছোলা ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর একটি পাত্রে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন।
সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমে ফ্রেশ হয়ে নিন। এরপর খালি পেটে পানির সাথে ভেজানো ছোলা খান। এটি আপনার শরীরকে সারাদিন কাজ করার জন্য প্রচুর শক্তি দেবে। সকালে ছোলা খাওয়ার এই নিয়ম মেনে চললে শরীর উপকার হবে।
কাঁচা ছোলা খেলে কি মোটা হওয়া যায়ঃ
ছোলা খুবই পুষ্টিকর খাবার। এটি প্রোটিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। ছোলার ফাইবার উপাদান প্রায় মাংস বা মাছের সমান। তাহলে খাবারের তালিকায় ছোলা থাকলে আর কী চাই বলেন? আমাদের মতো দরিদ্র দেশে ছোলা, মাছ বা মাংসের বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তাই ওজন বাড়াতে আমরা ছোলা খেতে পারি।
প্রতিটি 100 গ্রাম ছোলায় থাকে: প্রায় 17 গ্রাম চর্বি বা প্রোটিন, 64 গ্রাম শর্করা বা শর্করা এবং 5 গ্রাম চর্বি বা তেল। ছোলাতে শর্করা বা কার্বোহাইড্রেটের কম গ্লাইসেমিক সূচক থাকে। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী, তাই ছোলা খুবই উপকারী একটি খাবার।তবে নিয়ম মেনে না খেলে আপনার সাস্থঝুকি রয়েছে।
কাঁচা ছোলা খেলে কি ওজন কমেঃ
কাবলি ছোলা আমাদের ওজন কমাতে খুবই উপকারী। এটি প্রোটিন, আয়রন, ফসফরাস, জিঙ্ক, পটাসিয়াম, ভিটামিন বি৬ এবং থায়ামিন সমৃদ্ধ। কাবলি ছোলায় ফাইবারও থাকে। এই ফাইবার আমাদের পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে এবং ক্ষুধা কমায়, যার ফলে আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সিদ্ধ করা ছোলা খেলে কি ওজন বাড়েঃ
সিদ্ধ ছোলা তার প্রোটিন বা ক্যালোরি সামগ্রীকে প্রভাবিত করে না, তবে তারা জল শোষণ করে, যার ফলে মোট ওজন বৃদ্ধি পায়। অবশ্য ভেজানো ছোলা ওজন কমাতে সাহায্য করে। “ভেজানো ছোলায় ক্যালোরি কম, প্রোটিন, ফাইবারের একটি ভালো উৎস এবং এর গ্লাইসেমিক সূচক কম।
প্রতিদিন ছোলা খেলে কি হয়ঃ
ছোলাতে ভালো পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রতিদিন ছোলা খেলে পায়ের ধমনীতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। উপরন্তু, ছোলার আইসোফ্লাভোনগুলি ইস্কেমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ধমনীর কার্যকারিতা উন্নত করে। ছোলায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি শরীরে দীর্ঘস্থায়ী শক্তি জোগায়।
সবাই জানে ছোলা শরীরের জন্য উপকারী। ছোলাতে পুষ্টির অভাব নেই। এটা কাঁচা বা রান্না করে খাওয়া যায়। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, কাঁচা ছোলা খাওয়া শরীরের জন্য বেশি উপকারী।
প্রতিদিন সন্ধ্যায় ছোলা ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এটি ফোলা এবং টোস্টি হবে। কয়েকবার ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে খেয়ে নিন। সকালের নাস্তায় খেতে পারেন। প্রতিদিন সকালে এক মুঠো। অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 100 গ্রাম ছোলাতে রয়েছে প্রায় 18 গ্রাম আমিষ, প্রায় 65 গ্রাম শর্করা, মাত্র 5 গ্রাম চর্বি, 200 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম এবং প্রায় 192 মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ। এছাড়াও এটি ভিটামিন বি-1 এবং বি সমৃদ্ধ। -2।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কাঁচা ছোলা প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার, যা শরীরে শক্তি জোগায়। এটি অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবেও কাজ করে। যা অসুখ মোকাবিলায় কাজে লাগে।
সকালে খালি পেটে ছোলা খেলে কি হয়ঃ
জানেন কি সকালে খালি পেটে কাঁচা, ভেজা ছোলা খেলে কী হয়? ভেজানো ছোলাতে রয়েছে জটিল কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফাইবার। এটি হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় এবং শরীরে চিনির শোষণ নিয়ন্ত্রণ করে। খালি পেটে কাঁচা ছোলা খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় এবং টাইপ 2 ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
সিদ্ধ ছোলা খেলে কি হয়ঃ
ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে: ছোলায় উপস্থিত প্রোটিন ও ফাইবার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে। ...
ওজন কমাতে সাহায্য করে: যেহেতু ছোলা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রন করে, তাই এগুলো ওজন কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ...
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিস রোগীরা মোটামুটি কঠোর ডায়েট অনুসরণ করে।
কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতাঃ
ছোলা বাঙালিদের খাবারের একটি সুপরিচিত উপাদান। রোজার মাসে ইফতারে থাকবে ছোলা। ছোলা সারা বছর ঘরে বা বাইরে খাওয়া হয়। মুড়ি মাখায় ছোলার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। অনেকেই বিকেলের নাস্তায় রাস্তার পাশের দোকান থেকে এক প্লেট ছোলা খান। অনেক ক্রীড়াবিদ বা স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ সকালে একমুঠো ভিজানো কাঁচা ছোলা খান।
তবে জনপ্রিয় এই খাবারের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও ক্ষতি সম্পর্কে অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই।
তাই খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে তাকে এ তথ্য জানানো হয়।
হজমে সহায়কঃ ডায়েটারি ফাইবার হজমে সাহায্য করার জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান। এবং এই খাদ্যতালিকাগত ফাইবারের অভাব বিশ্বব্যাপী একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা। এই ডায়েটারি ফাইবারের ঘাটতি পূরণে ছোলা একটি অনন্য খাবার।
ছোলা "র্যাফিনোজ" নামক দ্রবণীয় খাদ্য ফাইবার সমৃদ্ধ। এই উপাদানটি ধীর গতিতে পাকস্থলীতে থাকা খাবারকে ভেঙে দেয়। কারণ শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়াই রাফিনোজ ভেঙে ফেলতে সক্ষম। ছোলা মলত্যাগের অসুবিধা কমায় এবং নিয়মিত করতে সাহায্য করে।
কোলেস্টেরেল কমায়ঃ সুস্থ থাকার জন্য কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি। কারণ উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা হৃদরোগ, শারীরিক স্থূলতা, স্ট্রোক ইত্যাদি সহ অনেক দুরারোগ্য এবং মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে। আর ছোলাতে থাকা দ্রবণীয় ভোজ্য ফাইবারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাদ্যতালিকাগত ফাইবার ভাল অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখে, যা কোলেস্টেরল কমায়।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ আমাদের শরীর একটি বিস্ময়কর সৃষ্টি। এটি জীবাণুর সাথে লড়াই এবং ধ্বংস করতে পারে, গর্ভে নতুন মানব অঙ্গ তৈরি করতে পারে, পরিবেশের বিভিন্ন ক্ষতিকারক পদার্থ থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে এবং আরও অনেক কিছু। এবং যখন আমরা নিয়মিত ছোলা এবং অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করি, তখন শরীরের এই সমস্ত প্রক্রিয়াগুলি সমর্থন করে।
ছোলা পাকস্থলীতে "butyrate" নামক ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে। বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন যে এই "ফ্যাটি অ্যাসিড" মানবদেহে রোগাক্রান্ত এবং মৃত কোষগুলিকে দমন করে যাতে সুস্থ কোষগুলি সুরক্ষিত থাকে। এভাবেই ছোলা "কলোরেক্টাল ক্যান্সার" দমন করে।
হাড় শক্ত করেঃ ছোলাতে থাকা ডায়েটারি ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং সেগুলোকে শক্তিশালী করে।
অপকারিতাঃ
প্রক্রিয়াজাত ছোলায় সাবধানঃ সমস্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারের মতো, ছোলাও প্রক্রিয়াজাত করার সময় বিভিন্ন রাসায়নিক "সংরক্ষক" ধারণ করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি কোনও শারীরিক সমস্যা তৈরি করে না, তবে ধাতব কাউটার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী স্টোরেজ কৌটা মরিচা হতে পারে, যা ভিতরে ছোলার সাথে মিশে যেতে পারে।
বিষক্রিয়া হতে সাবধানঃ বোটুলিজম হল ক্লোস্ট্রিডিয়াম বোটুলিনাম ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট এক ধরনের খাদ্য বিষক্রিয়া। প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে এই ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা কম হলেও তা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। প্রক্রিয়াজাত খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা না হলে এই ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত খাবার যাতে লবণ ও চিনির পরিমাণ কম থাকে এবং খাবার অক্সিজেন না পেলে এই ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর সেদ্ধ ছোলায় লবণ ও চিনি কম থাকে।
পরিমাণ নিয়ন্ত্রণঃ একটি পুষ্টিকর খাদ্যের অর্থ এই নয় যে আপনি যতটা চান খেতে পারেন। এক গ্রাম কাপে 10 থেকে 15 গ্রাম প্রোটিন, 9 থেকে 12 গ্রাম ভোজ্য ফাইবার এবং 34 থেকে 45 গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। এমনকি ছোলাকে "গ্লুটেন-মুক্ত" বলাও সম্ভব নয়, বিশেষ করে যদি সেগুলি ব্রেস করা হয়। তাই পরিমিত পরিমাণে খান।
কাঁচা ছোলা খাওয়ার অপকারিতাঃ
জেনে নিন কাঁচা ছোলার অপকারিতা এবং কীভাবে এটি খাওয়া উচিত।
- আমরা সবাই কাঁচা ছোলা খেতে ভালোবাসি। কিন্তু তা মোটেও ঠিক নয়। অনেকেই যাদের ওজন বেড়ে যায়, মোটা হয়ে যায় বা উচ্চ রক্তচাপ থাকে তারা কাঁচা ছোলা খেতে পারেন। তবে কখনই কাঁচা ছোলা ভাজবেন না।
- যাদের বমির সমস্যা আছে তাদের কাঁচা ছোলা খাওয়া উচিত নয়।
- অনেকে আবার তেল-মশলা দিয়ে তৈরি ছোলা খেতেও পছন্দ করেন। যাকে ছানা মসলাও বলা হয়। অতিরিক্ত ওজনের ব্যক্তিদের এই ধরনের ছোলা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ অতিরিক্ত মসলা তেল তাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
- দুর্বল হজম শক্তির মানুষ সহজে কাঁচা ছোলা হজম করতে পারে না। এছাড়াও যাদের কিডনির সমস্যা আছে। যাদের ব্লাড ডায়ালাইসিস করানো হয়, যাদের শরীরে ক্যাটেনিন এবং ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি তাদের যেকোনো ধরনের ছোলা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
প্রতিদিন ছোলা খাওয়ার উপকারিতাঃ
- ছোলাতে ভালো পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রতিদিন ছোলা খেলে পায়ের ধমনীতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। উপরন্তু, ছোলার আইসোফ্লাভোনগুলি ইস্কেমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ধমনীর কার্যকারিতা উন্নত করে। ছোলায় উচ্চ পরিমাণ ক্যালরি শরীরে দীর্ঘস্থায়ী শক্তি জোগায়।
- ছোলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে, তাই শরীরে প্রবেশ করার পর অস্থিরতার অনুভূতি চলে যায়।
- ছোলার শর্করা গ্লুকোজ হিসাবে দ্রুত রক্তে প্রবেশ করে না। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ছোলা খুবই উপকারী।
- ছোলা দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় খাদ্যতালিকাগত ফাইবার রয়েছে। এই খাদ্য আঁশ হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
- খাদ্যনালীর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
- ছোলা শরীরের অপ্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল কমায়। ছোলার চর্বি বা তেলে থাকা বেশিরভাগ পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়।
- ছোলাতে ভালো পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- প্রতিদিন ছোলা খেলে পায়ের ধমনীতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। উপরন্তু, ছোলার আইসোফ্লাভোনগুলি ইস্কেমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ধমনীর কার্যকারিতা উন্নত করে।
- ছোলায় উচ্চ পরিমাণ ক্যালরি শরীরে দীর্ঘস্থায়ী শক্তি জোগায়।
- ছোলা অল্প সময়ে হজম হয় এবং ছোলার ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- ছোলা ভিটামিন বি সমৃদ্ধ। যা স্নায়ুর দুর্বলতা এবং মেরুদণ্ডের ব্যথা কমায়।
- ছোলায় থাকে সালফার। সালফার মাথার তাপ এবং হাত-পায়ের জ্বালাপোড়া উপশম করে।
- কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে আদা দিয়ে খেলে শরীরের পুষ্টি ও অ্যান্টিবায়োটিকের চাহিদা পূরণ হয়। আমিষ মানবদেহকে শক্তিশালী করে এবং অ্যান্টিবায়োটিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
প্রতিদিন কতটুকু ছোলা খাওয়া উচিতঃ
আপনার প্রতিদিন 25 থেকে 30 গ্রাম ছোলা খাওয়া উচিত। বেশি ছোলা খাওয়া ভালো নয়। একজন সুস্থ মানুষের জন্য 25 থেকে 30 গ্রাম ছোলাই যথেষ্ট। কাঁচা ছোলায় পরিমিত পরিমাণে ক্যালোরি থাকে, যা শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং শরীরের ক্যালরির চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে। আবার এর ফাইবার এবং উচ্চ প্রোটিন লেভেল অনেকক্ষণ পাকস্থলীতে থাকে। তাই ঘন ঘন খাওয়ার দরকার নেই।
100 গ্রাম ছোলায় কত প্রোটিন থাকেঃ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রতি 100 গ্রাম ছোলায় 372 কিলোক্যালরি রয়েছে। 60 গ্রাম প্রোটিন এবং 5.6 গ্রাম চর্বি। এছাড়াও, ছোলা ফাইবারে পরিপূর্ণ।
যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে কাঁচা ছোলাঃ
ছোলা প্রচুর পরিমাণে ফোলেট এবং খাদ্যতালিকাগত আঁশের পাশাপাশি অ্যামিনো অ্যাসিড ট্রিপটোফ্যান, কপার, ফসফরাস এবং আয়রন সমৃদ্ধ। যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাতে ছোলা ভিজিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে যৌন ক্ষমতা বাড়বে। আমিষ জাতীয় খাবার মানবদেহকে শক্তিশালী ও সুস্থ করতে সাহায্য করে।
লেখকের মন্তব্যঃ
আমি হয়ত আপনার জানতে চাওয়া তথ্য তুলে ধরতে পেরেছি।আপনি যদি আমার তথ্যে হ্যাপি হন তাহলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।প্রিয়জনদের জানাতে চাইলে লিখাটি শেয়ার করে তাদের জানার সুযোগ দেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url